বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী তিলোত্তমা শিকদারের সাথে দেখা করতে গিয়ে কমিটি হারিয়েছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে এমন অ’ভিযো’গ করেন ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পত্নেন্বশর চন্দ্র রায়।
এর আগে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদারের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা করে ছবি তুলেন ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্পাদক পত্নেন্বশর চন্দ্র রায়।
তার অভিযোগ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদের না জানিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেত্রীর সাথে দেখা করায় তার কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান বলেন, ওই ইউনিয়নের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ওই কমিটির কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমও নেই, তাই কমিটি ভে’ঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে।
ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্পাদক পত্নেন্বশর চন্দ্র রায় বলেন, তিস্তা ব্যারাজ হেলিপ্যাড মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘অমৃত সূর্য’ শীতার্ত মানুষজনের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। ডিমলা তিস্তা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের আমন্ত্রণে আমি সেই অনুষ্ঠানে যাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার দিদিকে কাছে পেয়ে তার সাথে কিছু ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করি। হাতীবান্ধা ফিরে অনলাইনে ঢুকে দেখতে পাই আমার ইউনিয়ন কমিটি বিলু’প্ত করা হয়েছে। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পাই উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাদের না জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেত্রীর দেখা করা ও ছবি তোলা আমার অপরাধ। সেই অ’পরা’ধে আমার পুরো কমিটি বিলু’প্ত করে দেয়া হয়েছে।
তবে পত্নেন্বশর চন্দ্র রায়ের এসব অ’ভিযো’গ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান বলেন, ওই ইউনিয়নের কমিটি’র মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। সভাপতি বিবাহিত। কমিটির কার্যক্রমও নেই বলে চলে। গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। তাই সাংগঠনিক নিয়মেই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। শিগগিরই নতুন কমিটি হবে।
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, ইউনিয়ন কমিটি গুলো ভেঙে নতুন কমিটি করে উপজেলা সম্মেলন করার প্রস্তুতি চলছে। তার অংশ হিসেবে ওই ইউনিয়ন কমিটি বিলু’প্ত করতে পারে উপজেলা কমিটি। তবে এভাবে কমিটি বি’লুপ্ত করা ঠিক হয়নি। আমাকে ওই কমিটির সম্পাদক ফোনে অ’ভিযো’গ করেছেন। জেলা সভাপতি ঢাকায় আছেন, তিনি ফিরে এলে ওই অ’ভিযো’গ যদি সত্য হয় তাহলে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।